গতকাল ৪ অক্টোবর শুক্রবার রাত নয়টায় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হাদুমাঝির পাড়াস্থ মুছা বিল্ডিংয়ের সামনে বিলের পাশে প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের ধরে মোঃ তারেক (২০) নামক এক রাজমিস্ত্রী মরিয়ম আক্তার সামিরা (১৭) নামের এক গার্মেন্টসকর্মী কিশোরীকে গলায় মুহুর্মুহু ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। সামিরার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকারী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন খবর মেয়ে ভিক্টিম সামিরাকে উদ্ধারপূর্বক চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানতে পারে ভিক্টিম ও হত্যাকারীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে হত্যাকারী গতরাতে তাকে ফোন করে দেখা করার জন্য ডেকে নেয়। আসামি তারেক আগে থেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি ছুরি কিনে তার সাথে রাখে। তাদের দেখা হওয়ার পর তাদের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টির বিষয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। এই সময় আসামি তাকে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে ঝগড়া করতে থাকে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামি ভিক্টিমের গলায় একের পর এক ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান জানতে পারে।
এই বিষয়ে ভিক্টিমের ভাই মোঃ পারভেজ উদ্দিন (২২) বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দায়ের করলে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) ফয়সাল আহম্মেদর নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ জাহাঙ্গীরের সার্বিক সহযোগিতায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) মোঃ আরিফ হোসেন ও পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমানের নেতৃত্বে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, এসআই মোঃ নুরুল আবছার, এসআই দীপক দেওয়ান সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সের সহায়তায় আসামির নানার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানাধীন চন্দ্রঘোনাস্থ লিচুবাগান আহমদুল হকের কলোনি থেকে গত রাত আনুমানিক ৩ টার সময় গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামির দেখানো ও শনাক্তমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা ও ভিক্টিমের পরিহিত এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।