পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ২৮ বস্তা টাকা, গণনা চলছে

 

খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স। বরাবরের মতো এবারও নতুন রেকর্ড। পাওয়া গেলো ২৮ বস্তা টাকা। চলছে গণনা। মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স ৩ মাস ২৬ দিন পর শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৭টায় খোলা হয়েছে। এরপর সকাল ৯টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় এক এক করে ২৮টি বস্তায় টাকাগুলো ভরাট করা হয়।

এর আগে, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল দানবাক্স খোলার পর আগের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে পাওয়া গিয়েছিল ২৭ বস্তা টাকা। আশা করা যাচ্ছে, এবার টাকার পরিমাণও গতবারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ ছাড়াও এ সময় বিপুলসংখ্যক সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩ মাস ২৬ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এবারও ভালো কিছু হতে চলেছে।

এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছর ২০ এপ্রিল ৯টি দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তায় রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। তারও আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া যায়।

গত বছর চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।

টাকা গণনাকাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন। সারা দিন টাকা গণনা শেষে জানা যাবে এবারের দানের পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।

 

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on linkedin
Share on email

সম্পর্কিত আরো খবর