শেফসরা মানতবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন

শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশ এর আয়োজনে ২০ অক্টোবর রবিবার ঢাকার রেডিসন ব্লু হোটেলে পালন করা হয় ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে ২০২৪।

এবারের শেফস ডে এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “গ্রোয়িং গ্রেট শেফ”। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জাকজমকপূর্ণভাবে ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে বাংলাদেশে পালিত হয়।

শেফ ফেডারেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারা দেশ হতে ১ হাজারের বেশি শেফ অংশগ্রহণ করেন।

ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমীরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিক আল হামুদি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে ২০২৪ অনুষ্ঠান আয়োজনে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সারা বিশ্বে আজ শেফস ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে পালন হচ্ছে যা এই পেশার গৌরবকে সম্মানের সাথে তুলে ধরছে। শেফসরা তাদের এই মহান পেশার মাধ্যমে মানতবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। আমি তাদের এজন্য অভিনন্দন জানাই। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের শেফসরা তাদের উচ্চমানের সেবার কারণে বিশ্বের কাছে দেশের সম্মান আরও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরবেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর চেয়ারম্যান একেএম আফতার হোসেন প্রামানিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের অগ্রযাত্রায় শেফসদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে আয়োজন করায় আমি শেফ ফেডারেশন অব বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সিইও ট্যুরিজম বলেন, বাংলাদেশের শেফসরা সারা পৃথিবীর কাছে সমাদৃত। তারা নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন তাদের কাজের মাধ্যমে। আমি দেশে ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে আয়োজনের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান ভারপ্রাপ্ত আইজিপি মো. আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশ আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে ২০২৪। এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে সেনা হোটেল ডেভলপমেন্ট লিমিটেড চট্টগ্রামের সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মোহাম্মদ আলী বলেন, শেফস পেশা বিশ্বে এক মহান পেশা। ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে ২০২৪ অনুষ্ঠানে আমি মনে করি শেফসরা সারা বিশ্বের মানুষকে পুষ্টিকর সুস্বাদু খাদ্য খেয়ে বেচে থাকতে যাহায্য করছেন। শেফ ফেডারেশন অব বাংলাদেশ দেশের পর্যটন এর বিকাশমান অগ্রযাত্রায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। আমি তাদের এ আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান এবং সিইও আব্দুস সালাম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে ২০২৪ এ আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শেফসদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশ তারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের রন্ধন শিল্পকে তুলে ধরছে তারা বাংলাদেশের পর্যটনকে সমৃদ্ধ করেছেন। আমাদের গণমাধ্যমে তাদের এই অগ্রযাত্রার সাথে সব সময় পাশে আছে আমি তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের পর্যটনের প্রসারে তারা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশে ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। একটি পর্যটন বান্ধব বাংলাদেশ গড়তে আমরা সব সময় পর্যটনের পাশে আছি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্যে শেফস ফেডারেশন বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা হোটেল ওয়েস্টিন ও শেরাটন এর সিইও শাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশ দেশের রন্ধন শিল্পে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের পর্যটনে তাদের ভূমিকা সকলের কাছে প্রশংশিত। তারা সব সময় পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের হোটেল ইন্ডাষ্টির বিকাশে অনন্য অবদান রাখছে।

শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট জহির খান বলেন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ২০১৮ সাল হতে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে পালন করছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের শেফসদের অনেক সুনাম আছে। আমাদের কাছে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করাটাই আসল দায়িত্ব। আজকের দিনে আমি বিশ্বের সকল শেফসদের অভিনন্দন জানাই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে নিউইয়র্কের খলিল বিরিয়ানির কর্ণধার খলিলুর রহমান বলেন, ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডের আয়োজনের জন্য আমি শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশকে জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বাংলাদেশের রন্ধন শিল্প সারা বিশ্ব জয় করেছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের শেফসদের কারণে। আজকের এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে সকালকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শেফস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বোরহান খান। তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে আয়োজনে সারা বাংলাদেশ হতে আগত সকল শেফস ও সম্মানিত অতিথিদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেফস পেশার উচ্চ মান সম্পর্কে সকলে ধারণা পাবে এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত তরুণরা এই পেশার প্রতি আগ্রহ হবেন। সারা বিশ্বের পর্যটন খাতে বাংলাদেশের শেফসদের অংশগ্রহণ আরও বিকশিত হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিমান এর জিএম মো. মনিরুল ইসলাম, নিরাপদ খাদ্যের সচিব মো. আখতার মামুন, শেফ ফেডারেশন অব বাংলাদেশের উপদেষ্ঠা ও বিশিষ্ট রেস্টুরেন্ট ও টুরিজম ব্যবসায়ী আশরিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্কাস উদ্দীনসহ প্রমুখ।

দিন ব্যাপী আলোচনা, কুইজ, র‍্যাফেল ড্র ও বিকেলে জাকজমকপূর্ণ সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on linkedin
Share on email

সম্পর্কিত আরো খবর

সর্বশেষ