বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেছেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘমেয়াদে সাংবাদিকদের জন্য কাজ করবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।
দেশব্যাপী সাংবাদিকদের ডাটাবেজের ভাণ্ডার তৈরি করা হবে, যাতে প্রকৃত সাংবাদিকরা উপকৃত হয় এবং অপ-সাংবাদিকতা বিলুপ্ত হয়।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও কল্যাণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও সাংবাদিকের অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় চট্টগ্রাম নগর, কক্সবাজার, বান্দরবান,রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির ১৭ জন সাংবাদিককে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ ও চট্টগ্রাম জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মো. সাঈদ হাসান।
এম আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকদের শুধু অনুদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, তাদের জন্য বহুমুখী কল্যাণকর কাজেও হাত দিতে হবে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার কাজ করছে কল্যাণ ট্রাস্ট। বয়োবৃদ্ধ ও অবসরকালীন সাংবাদিকদের জন্য ভাতা প্রদানে কার্যক্রম নিয়েছে কল্যাণ ট্রাস্ট। এ লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নে কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দৈনিক আমার দেশের ব্যুরো প্রধান ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য জাহিদুল করিম কচি, দি পিপলস ভিউর সম্পাদক ওসমান গণী মনছুর, এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, সিনিয়র সাংবাদিক মইনুদ্দিন কাদেরী শওকত, একাত্তর টিভির ব্যুরো প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী, সিএমইউজের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সিএমইউজের যুগ্মসম্পাদক রফিকুল ইসলাম সেলিম, সিনিয়র সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, মুখলেছুর রহমান ফারহাদী, আমিনুল ইসলাম, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান মজুমদার নাজিম উদ্দিন, দৈনিক মানবকণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক জীবন মুছা, ফারুক মুনির, ইসমাইল ইমন, আরিয়ান লেলিন প্রমুখ।