স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্রের বীজ বুনছে : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, দেশ থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিদায় নিলেও তার দোসররা এখনো ষড়যন্ত্রের বীজ বুনে যাচ্ছে। তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র রচনা করে যাচ্ছে।

তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা উত্তরের সীতাকুণ্ড উপজেলার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা সহ-সভাপতি আবেদ শাহ-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মাসুম-এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার প্রধান উপদেষ্টা মিজানুর রহমান, ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ইউসুফ বিন আবুবকর ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আজাদ প্রমুখ।

আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা তাদের দুর্নীতি লুটপাটের তথ্য মুছে ফেলতে গতকাল সচিবালয়ে আগুন দিয়েছে। তারা মনে করছে আগুনে পুড়িয়ে সব অপকর্ম মুছে ফেলবে। আমরা তাদের হুশিয়ার করে বলতে চাই ছাত্র জনতা এখনো ঘরে ফিরে যায়নি। তারা সজাগ রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারী সকল অপকর্ম রুখে দিয়ে বাংলার মাটিতে স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের বিচার না করা পর্যন্ত ছাত্র জনতা ঘরে ফিরে যাবে না। এই ছাত্র জনতা ভীতু কাপুরুষ নয়। তারা ঘাতকের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। হাজার হাজার ছাত্র জনতা এই নতুন স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। সঙ্গী সাথিদের লাশ কাঁধে নিয়ে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে গেছে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। সুতরাং যারা মনে করছে এই রক্তের সাথে বেইমানি করে আবার স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পুনর্বাসন করা সহজ হবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশে ও প্রবাসের শ্রমিকদের কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের এই দুর্দিনে শ্রমিকদের কে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে অর্থনীতির মেরুদণ্ড স্বাভাবিক রাখে। আজকের দিনে অর্থনীতির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মেরুদণ্ড ঠিক রাখতে শ্রমিকদের এগিয়ে আসতে হবে। শ্রমিকরাই রাষ্ট্রের নীতি ঠিক করবে। আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য শ্রমিকদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে পাড়া মহল্লা হতে শুরু করে সকল পর্যায়ে শ্রমিকদের নেতৃত্বে সমাজ পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এতকাল শ্রমিকরা রাষ্ট্রের দায়িত্ব অন্যদের হাতে তুলে দিয়েছিল। সেই প্রতাপশালীরা দায়িত্ব পেয়ে শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তনের কোনো চেষ্টা করেনি। বরং তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিল। আজকে সময় এসেছে নিজেদের ভাগ্য নিজেরা পরিবর্তন করার। এই সময় ও সুযোগ নষ্ট করা যাবে না।

এস এম লুৎফর রহমান বলেন, সীতাকুণ্ড ভারী শিল্প এলাকা। এই এলাকার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপজেলা কমিটিকে কাজ করতে হবে। শ্রমিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on linkedin
Share on email

সম্পর্কিত আরো খবর